সিপাহসালা হযরত শাহ সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রঃ) এর জীবনী
হযরত শাহ জালাল (র.) ইয়ামনী ও তার প্রধান সেনাপতি তরফ রাজ্য বিজয়ী মহান ইসলামী বীর পুরুষ সিপাহ সালার হযরত শাহ সৈয়দ
নাসির উদ্দিন (র.)১২৫০ খ্রিস্টাব্দে সৌদি অারবের মদীনা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি ইরাকের বাগদাদে বসবাস করতেন। বাগদাদ থেকে দিল্লীতে এসে সুলতান আলাউদ্দিন খিলজীর অধীনে ফৌজ বিভাগে যোগদান করেন। দিল্লীর সম্রাট তার কামালিয়াতের পরিচয় পেয়ে শাহী সৈন্য বাহিনীর নেতৃত্বে গ্রহণ ক্রমে সিলেট অঞ্চলকে বিজয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। সিলেট বিজয়ী হযরত শাহ জালাল (র.)-এর সাথে পথিমধ্যে মোলাকাত হয় এবং মুসলমানদের উপর গৌড় গোবিন্দের অত্যাচারের সংবাদে ব্যথিত হয়ে শাহী সৈন্যদের সঙ্গে যোগদান করতে সম্মতি প্রকাশ করেন। ০৩ হিজরী ১৩০৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সিলেট অঞ্চলকে বিজয় করেন। সিপাহসালার হযরত শাহ সৈয়দ নাসির উদ্দিন (র.) তরফ
রাজ্যের শাসন কর্তা নিযুক্ত হয়ে রাজধানীর হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার মুড়ারবন্দ দরবার শরীফে স্থান হিসেবে সমগ্র দেশ বিদেশেই সুপরিচিত। এই মুড়ারবন্দ নামক পবিত্র স্থানে চিরনিদ্রায় পূর্ব-পশ্চিমে শায়িত রয়েছেন প্রধান সেনাপতি তরফ রাজ্য বিজয়ী সিপাহসালার হযরত
শাহ্ সৈয়দ নাসির উদ্দিন (র.), হযরত সৈয়দ শাহ ইসরাইল ওরফে শাহ বন্দেগী (র.), হযরত সৈয়দ শাহ ইলিয়াছ ওরফে কুতুবুল আউলিয়া
(র.), বন্দেগী শাহ সৈয়দ দাউদ (র.)সহ ১২০ জন অলি- আউলিয়াগণের চিল্লা স্থাপন করেন। কথিত আছে, সিপাহসালার হযরত শাহ সৈয়দ নাসির উদ্দিন (র.) জীবনে কোন দিন ফজরের নামাজ কাযা করেন নি। তিনি নসিহত করেছিলেন, তাঁর ওফাতের পর মুসলমানদের দাফনের নিয়ম
অনুযায়ী উত্তর দক্ষিণে না দিয়ে পূর্ব পশ্চিমে দেয়ার জন্য। কিন্তু তৎকালীন স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম গণ তা না করে উত্তর দক্ষিণে দেহ মোবারক দাফন করেন। কিন্তু দেখা গেল দাফনের পর সমাধি স্থান থেকে ৪০ কদম দূরে আসা মাত্রই সিপাহ সালার (মাদানী) হযরত শাহ সৈয়দ নাসির উদ্দিন(র.) কথা মত মাজার বিকট এক শব্দের পর পূর্ব-পশ্চিমে হয়ে যায়। তাই সিপাহসালার (মাদানী) হযরত শাহ সৈয়দ নাসির উদ্দিন (র.) এর মাজার মুড়ারবন্দে পূর্ব- পশ্চিমে হয়ে যায় যাহা অাজীবনাবধি বিদ্যমান। সৈয়দ নাসির উদ্দিন(র.)সহ ১২০ আউলিয়া কেরাম গন মুড়ারবন্দে অতি মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ৫ শতাধিক জাম গাছের সুশীতল ছায়ায় শায়িত আছেন। সিপাহসালার হযরত শাহ সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রঃ) এর পূর্ব পশ্চিম রওজা দরবার শরীফ।
(সংগৃহীত)